পড়াশোনা করার সঠিক নিয়ম
পড়াশোনা করার নিয়ম। সঠিক নিয়মে পড়াশোনা করার উপায়- আজকের আলোচনার বিষয় আশাকরছি আর্টিকেল টাইটেল দেখে এতক্ষণে আপনারা বুঝতে পেরেছেন। আপনাদের মধ্যে অনেকেই রয়েছেন যারা রেজাল্ট ভালো করার জন্য পড়াশোনা করতে থাকেন।কিন্তু অতিরিক্ত পড়াশোনা করার ফলেও আপনাদের রেজাল্ট ভালো হয়না।
কিন্তু এমন এমন অনেক স্টুডেন্ট রয়েছে যারা অতিরিক্ত লেখাপড়া না করে অনেক ভাল রেজাল্ট করতে পারে এখন আপনারা ভাবছেন যে এটা অতিরিক্ত মেধার কারনে হয়ে থাকে আসলে আমন্টি নয়। কেননা আপনি পড়াশোনা করার সঠিক নিয়ম যদি অবলম্বন করেন বা সঠিক নিয়মে পড়াশোনা করতে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার রেজাল্ট ভালো হবে।
পোস্ট সূচিপত্রঃপড়াশোনা করার নিয়ম | সঠিক নিয়মে পড়াশোনা করার উপাই
- পড়াশোনা করার নিয়ম | সঠিক নিয়মে পড়াশোনা করার উপায়
- পড়াশোনা করতে হবে বুঝে শুনে মুখস্ত বিদ্যা নয়
- পড়াশোনা করতে হবে এবং বিশ্রাম করতে হবে
- একই বিষয়ে বিভিন্ন স্থান থেকে পড়তে হবে
- পড়ার সময় মন দিয়ে পড়তে হবে
- নিজে পড়াশোনা করার ফাঁকে ফাঁকে অন্যকে শেখানো
- পড়াশোনা করবেন কিন্তু সেটা গল্পের মতো করে
- পড়াশোনা করার সময় রুটিন অনুযায়ী পড়তে হবে
- মনোযোগ সহকারে নিয়মিত ক্লাস করতে হবে
- আমাদের শেষ কথা,
পড়াশোনা করার নিয়ম | সঠিক নিয়মে পড়াশোনা করার উপায়
পড়াশোনা করার নিয়ম সঠিক নিয়মে পড়াশোনা করার উপায় সম্পর্কে এখন আমরা বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব। প্রচলিত সমাজে রয়েছে যে অতিরিক্ত সময় ধরে পড়াশোনা করলে রেজাল্ট ভালো হবে। হ্যাঁ এটা সত্য যে যদি আপনি অতিরিক্ত সময় ধরে লেখাপড়া করেন তাহলে অবশ্যই আপনি রেজাল্ট ভালো করতে পারবেন।
আরো পড়ুনঃ সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি কি
কিন্তু অতিরিক্ত লেখাপড়া করার ফলে আপনার নানান ধরনের সমস্যা হতে পারে শারীরিক বা মানসিক। যদি আপনি অতিরিক্ত লেখাপড়া না করে লেখাপড়ার কিছু নিয়ম অনুসরণ করে লেখাপড়া করতে থাকেন। তাহলে অবশ্যই আপনাদের লেখাপড়া অনেক কাজে আসবে। আপনারা যদি সঠিক নিয়ম অবলম্বন করে লেখাপড়া করতে থাকেন তাহলে আপনাদের মধ্যে অনেক পরিবর্তন চলে আসবে।
তাই আপনারা যদি অতিরিক্ত চাপ নিয়ে লেখাপড়া করেন তাহলে আপনাদের নানান ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে। আপনার আর লেখাপড়া করবেন কিন্তু তা করতে হবে একদম সঠিক নিয়ম অনুসরণ করে। তাহলে আপনারা নিজেরাই দেখতে পাবেন যে কেমনভাবে রেজাল্ট ভালো হচ্ছে। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক পড়াশোনা করার সঠিক নিয়ম সম্পর্কে।
পড়াশোনা করতে হবে বুঝে শুনে মুখস্ত বিদ্যা নয়
একজন স্টুডেন্ট যখন ছোট থেকে বড় হতে থাকে তখন তাকে স্কুলে বা বিভিন্ন জায়গাতে লেখাপড়া করতে হয় মুখস্ত করে। অর্থাৎ আপনি যদি প্রতিনিয়ত একটি জিনিস মুখস্ত করে পড়তে থাকেন তাহলে সেই মুখস্থ আপনার সব সময় কাজে দেবে না। কেননা আপনি এখন মুখস্ত করছেন কিন্তু পরবর্তী সময়ে সেই মুখস্থ করার বিদ্যা আপনার ভুলে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকবে।
তাই আপনি যখন লেখাপড়া করবেন অবশ্যই আপনাকে সকল কিছু বুঝে শুনে লেখাপড়া করতে হবে। আপনি যখন কোন বিষয় পড়তে থাকবেন তখন অবশ্যই সেই বিষয়টা আপনার মনে মনে বুঝতে হবে এবং সেই বিষয়ে আপনাকে পড়তে হবে। আপনি যদি মুখস্ত না করে এভাবে বুঝে বুঝে পড়েন তাহলে অবশ্যই আপনার রেজাল্ট ভালো হবে।
পড়াশোনা করতে হবে এবং বিশ্রাম করতে হবে
আপনি যখন লেখাপড়া করবেন তখন অবশ্যই আপনাকে অতিরিক্ত লেখাপড়া করা থেকে বিরত থাকতে হবে। কেননা আপনি যদি অতিরিক্ত লেখাপড়া করতে থাকেন তাহলে আপনাদের মস্তিষ্কের নানান ধরনের সমস্যা হতে পারে। আপনি যখন আপনার প্রয়োজনীয় বই পড়বেন তখন অবশ্যই বই পড়ার ফাঁকে ফাঁকে 5 থেকে 10 মিনিট রেস্ট করে নেবেন।
আরো পড়ুনঃ সামাজিক নিরাপত্তা বলতে কি বুঝায়
বা আপনি যে এখন বই পড়তে থাকবেন তখন অতিরিক্ত সময় ধরে বই নিয়ে পড়াশোনা করবেন না। শুধুমাত্র আপনি আপনার পড়ার সিস্টেমটা পরিবর্তন করে নিতে হবে অর্থাৎ পড়ার ফাঁকে ফাঁকে আপনাকে রেস্ট করতে হবে। সেই সময়টা রেস্ট করবেন সেই সময়টাতে আপনার যা ইচ্ছে তাই করবেন। তারপর রেস্ট করা হয়ে গেলে আবার এসব পড়তে বসবেন।
একই বিষয়ে বিভিন্ন স্থান থেকে পড়তে হবে
আপনাদের মধ্যে অনেকেই রয়েছেন যারা শুধুমাত্র যে জিনিস পড়তে থাকে শুধু সেই একই বই থেকে পড়তে থাকে। কিন্তু এটা কখনোই করবেন না কেননা যদি আপনারা একটি বিষয়ে একটি জায়গা থেকে শিখতে চান তাহলে অবশ্যই সেই বিষয়টা আপনাদের কাজে দেবে কিন্তু পুরোপুরি কাজে দেবে না। সেই জন্য আপনারা যে বিষয়ে পড়তে থাকবেন বিভিন্ন জায়গা থেকে সেই বিষয় সম্পর্কে জানতে হবে।
আপনারা যে বিষয়ে পড়তে ইচ্ছুক সেই বিষয় সম্পর্কে আপনাদের বন্ধুদের সঙ্গে একসঙ্গে বসে গ্রুপ স্টাডি করতে পারেন। বিভিন্ন লাইব্রেরীতে গিয়ে সেই বিষয়ে আপনারা জ্ঞান অর্জন করতে পারেন। এক কথায় আপনারা যে বিষয় সম্পর্কে আগ্রহী সেই বিষয়ে শুধু একটি মাত্র মাধ্যম থেকে নয় অন্যান্য মাধ্যমে থেকে শিখতে হবে। তাহলে অবশ্যই আপনাদের রেজাল্ট ভালো হবে।
পড়ার সময় মন দিয়ে পড়তে হবে
মনে করুন আপনারা এমন সময় পড়তে বসেছেন সেই সময় অনেক কথাবাত্রা হইছে এই সকল কিছু হচ্ছে তাহলে সে সময় আপনাকে পড়তে বসা উচিত হবে না। কেননা সেই সময় যদি আপনি পড়তে বসেন তাহলে অবশ্যই আপনার পড়ায় মনোযোগ বসবে না। তাই আপনাকে এমন সময় পড়তে বসতে হবে যাতে সেই সময় আপনি মনোযোগ দিয়ে পড়তে পারেন।
আরো পড়ুনঃ সমাজ সংস্কার বলতে কি বুঝ
আপনাকে পড়াশোনা করার সময় এমন সময় বেছে নিতে হবে যে সময়ে যাতে কোন প্রকার হইচই না হয় বা আপনাকে কোথাও যেতে না হয়। এ সকল নিয়ম মেনে আপনাকে লেখাপড়া করতে হবে। আপনি পড়তে বসে যদি পড়ায় মনোযোগ না দিতে পারেন তাহলে সেই পড়া দিয়ে কিছুই হবে না। তাই আপনি যখন পড়তে বসবেন অবশ্যই মন দিয়ে পড়তে হবে।
নিজে পড়াশোনা করার ফাঁকে ফাঁকে অন্যকে শেখানো
মনে করুন আপনি নিয়মিত মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা করছেন কিন্তু সেই পড়াশোনা আপনার মনে থাকছে না। অর্থাৎ সেই সময় আপনি একটি কাজ করতে পারেন সেটি হল আপনি চাইলে আপনি যে বিষয়টা জানেন সেই বিষয়টা নিয়ে অন্যজনের সঙ্গে আলোচনা করতে পারেন। বা আপনি যে বিষয়টা জানেন সেই বিষয়ে অন্যজনকে পড়াতে পারেন।
আপনি যদি অন্য জনকে পড়াতে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনি যেই বিষয়টা জানেন সেটা আরো বেশি করে জানতে পারবেন এবং আপনার সেই বিষয়ে পুরোপুরি ভাবে মনে থাকবে। তাই বলা যায় পড়াশোনা করার জন্য অবশ্যই অন্যকে জানান ও অত্যন্ত প্রয়োজন। কেননা এতে আপনার লাভ বেশি হবে। অর্থাৎ সকল কিছু আপনি খুব সহজেই মনে রাখতে পারবেন।
পড়াশোনা করবেন কিন্তু সেটা গল্পের মতো করে
মনে করুন আপনি প্রতিনিয়ত লেখাপড়া করছেন কিন্তু সে লেখাপড়া আপনার বেশিক্ষণ মনে থাকছে না। আপনাদের মধ্যে এমন স্টুডেন্ট রয়েছে যারা শুধুমাত্র বইয়ের সরাসরি লাইন পড়ে কোনো কিছু মুখস্থ করতে বা মনে রাখতে পারে না। কিন্তু তাদের সামনে যদি গল্পের আকারে কোন পড়ানো হয় তাহলে সেই পড়া তারা ভুলে না।
আরো পড়ুনঃ সামাজিক সমস্যা সমাধানের উপায়
তাই আপনারা যদি এই সমস্যা হয় তাহলে অবশ্যই আপনি যে বই পড়বেন সেই বইয়ের পড়া গুলো গল্পের আকারে পড়তে থাকবেন। তাহলে অবশ্যই আপনারা দেখবেন যে সেই বিষয়গুলো আপনাদের অনেক বেশি মনে থাকবে। আপনারা যত বেশি গল্পের আকারে বই পড়তে থাকবেন ততই আপনাদের সেই বিষয়টা চর্চাই থাকবে। তাহলে এভাবেই আপনারা লেখাপড়ায় মনোযোগী হতে পারবেন।
পড়াশোনা করার সময় রুটিন অনুযায়ী পড়তে হবে
আপনারা যদি লেখাপড়া করে রেজাল্ট ভালো করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাদেরকে সেই বিষয়ে বা আপনার লেখাপড়া করার সময় বিভিন্ন রুটিন তৈরি করে নিতে হবে। আপনি যদি প্রতিনিয়ত রুটিন অনুযায়ী পড়তে থাকেন তাহলে অবশ্যই সেই বিষয়গুলো আপনি অল্প সময়ের মধ্যেই নিজের মধ্যে নিয়ে চলে আসতে পারবেন।
প্রত্যেকটা সাবজেক্ট যখন আপনি রুটিন অনুযায়ী পড়তে থাকবেন তাহলে আপনার নিজের আয়ত্তের মধ্যে চলে আসবে সেই সকল বিষয়। তখন আপনারা এমনিতেই বুঝতে পারবেন যে কোন বিষয়ে কখন পড়তে হবে। আপনাকে সেই নিয়ম অনুসরণ করে একটি রুটিন তৈরি করে নিতে হবে। এবং সেই রুটিন অনুযায়ী আপনাকে নিয়মিত চর্চা করতে হবে।
মনোযোগ সহকারে নিয়মিত ক্লাস করতে হবে
আপনারা যদি নিয়মিত ক্লাসে উপস্থিত থাকেন এবং ক্লাসে উপস্থিত থাকা অবস্থায় মনোযোগ সহকারে সকল কিছু শিখেন তাহলে অবশ্যই আপনারা রেজাল্ট ভালো করতে পারবেন। এবং ক্লাসের মনোযোগী হওয়ার ফলে আপনি সকল বিষয় খুব তাড়াতাড়ি বুঝতে পারবেন। একজন স্টুডেন্ট ভালো তখনই হবে যখন সে ক্লাসে মনোযোগী হবে।
আরো পড়ুনঃ সামাজিক সমস্যার কারণ
তাই আপনি যদি ক্লাসে অমনোযোগী হয়ে লেখাপড়া করতে থাকেন তাহলে সেই লেখাপড়া দিয়ে আপনার কোন কাজে আসবে না। সেই কারণে আপনি যখনই ক্লাসে উপস্থিত হবেন তখন অবশ্যই সকল কিছু বাদ দিয়ে ক্লাসে মনোযোগ দিয়ে ক্লাস করতে হবে। তাহলে দেখবেন পরিবর্তন আপনা আপনি চলে আসবে আপনার রেজাল্ট এর মাধ্যমে।
আমাদের শেষ কথা,
পড়াশোনা করার নিয়ম সঠিক নিয়মে পড়াশোনা করার উপায় আশা করছি এই সকল বিষয়ে আপনারা খুব ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন। আপনারা যদি লেখাপড়া করে ভাল রেজাল্ট করতে চান তাহলে অবশ্যই উপরোক্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে আপনাদেরকে ভালোভাবে জানতে হবে। এবং সকল নিয়ম অনুসরণ করে আপনাকে লেখাপড়া করতে হবে।
আপনারা যদি উপরের আলোচনা করার এই সকল বিষয় সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে লেখাপড়া করতে পারেন তাহলে অবশ্যই আপনাদের রেজাল্ট ভালো হবে। তাহলে আজকেরে আর্টিকেল যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে অবশ্যই আপনি আপনার পরিচিত জনদের সঙ্গে শেয়ার করবেন সকলে ভাল থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন ধন্যবাদ সবাইকে।
এম আর টেক ইনফো ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url