মনোযোগের বৈশিষ্ট্য

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় পাঠকগণ, আশা করছি আপনারা সকলে ভাল আছেন। আজকে আমরা এই আর্টিকেলের মধ্যে মনোযোগের বৈশিষ্ট্য নিয়ে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করব।
ছবি
আপনারা যারা মনোযোগের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে জানতে ইচ্ছুক তাহলে তারা আজকের এই আর্টিকেল থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন। তাহলে চলুন বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।

প্রশ্নঃ 

মনোযোগের বৈশিষ্ট্য।
মনোযোগের বৈশিষ্ট্য লেখ।
মনোযোগের বৈশিষ্ট্য গুলো লিখ।
মনোযোগের বৈশিষ্ট্য গুলো তুলে ধরো।
মনোযোগের মানদণ্ড সমূহ কি কি।

ভূমিকাঃ 

প্রত্যক্ষণের সাথে সরাসরি জড়িত একটি গুরুত্বপূর্ণ মানসিক ক্রিয়া হলো মনোযোগ। মূলত যথাযথভাবে মনোযোগের মাধ্যমে ব্যক্তির প্রত্যক্ষণ শিক্ষণ চিন্তন ইত্যাদি মানসিক প্রক্রিয়াগুলো সোচারো রূপে সম্পূর্ণ হয়ে থাকে। কোন নির্বাচিত বিষয়কে চেতনার কেন্দ্রস্থলে নিয়ে আসার মানসিক প্রক্রিয়াকে মনোযোগ বলে অভিহিত করা হয়। 
আরো পড়ুনঃ আবেগ কি

মনোযোগের বৈশিষ্ট্যঃ

মনোযোগের ক্ষেত্রে কতগুলো বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান রয়েছে। মনোযোগের বৈশিষ্ট্য গুলো বর্ণনা করা হলোঃ-

১। ইচ্ছামূলক মানসিক প্রক্রিয়াঃ 

মনোযোগ একটি ইচ্ছামূলক মানসিক প্রক্রিয়া। তাই এ মানসিক প্রক্রিয়াটি একটি বিশেষ দিকে চালিত করতে হয়। এ প্রক্রিয়া চেতনাকে বস্তুর ওপরে কেন্দ্রীভূত করে বস্তুর ধারণাকে সুস্পষ্ট করে।

২। মনোযোগ নির্বাচনধর্মীঃ

একটি বিষয় নির্বাচন করা ও অপরগুলোকে বর্জন করা বা চেতনার কেন্দ্র থেকে অপসারিত করাই হলো মনোযোগের ধর্ম। কেউ যদি পড়াশোনার কাজে নিজেকে নিয়োজিত করে তখন সে অন্যান্য শব্দ যেমন পাখির ডাক গাড়ির শব্দ ইত্যাদি দিকগুলোকে চেতনার কেন্দ্র থেকে বর্জন করে।

৩। ইতিবাচক ও নৈতিবাচক দিকঃ 

মনোযোগের দুটি দিক আছে। একটি ইতিবাচক ও অন্যটি নেতিবাচক। যে বিষয়ের প্রতি মনোযোগ দেওয়া হয় তা ইতিবাচক এবং যে বিষয় থেকে মন সরিয়ে নেওয়া হয় তা নেতিবাচক।

৪। সীমিত ক্ষেত্রেঃ 

মনোযোগের ক্ষেত্র খুব সীমিত। কারণ একটি সময়ে আমরা কেবল একটি বিষয়ের প্রতি মনোযোগী হতে পারি।

৫। উপযোজনমূলকঃ 

মনোযোগের মধ্যে মানসিক তৎপরতা আছে। কেননা মনোযোগ হচ্ছে বস্তুর সাথে মনের উপযোজন।

৬। মনোযোগ অস্থির ও সঞ্চরণশীলঃ 

মনোযোগ সাধারণত বস্তু থেকে বস্তুতে ঘুরে বেড়ায়। আমরা কোন একটি নির্দিষ্ট বিষয়ের ওপর কয়েক সেকেন্ডের বেশি মনোযোগী হতে পারে না।

৭। ধারাবাহিকঃ 

মনোযোগ সঞ্চালনশীল হলেও তা ধারাবাহিক এবং একত্ব বিশিষ্ট ক্রিয়া। যেমন-কোন বিষয়ের প্রতি মনোযোগী হলেও তা ধারাবাহিকভাবে ও ঐক্যবদ্ধভাবে দৃষ্ট হয়।

৮। অনুসন্ধানীঃ 

মনোযোগ সব সময়ই নতুন বিষয়বস্তুকে খুঁজে বেড়াই। সাধারণত যেসব বস্তুতে নতুনত্ব বা অভিনবত্ব নেই সেসব বিষয়ে মনোযোগ আকর্ষিত হয় না।

৯। উদ্দেশ্যমূলকঃ 

মনোযোগ কোন বিষয়ের অস্পষ্টতা দূর করে তাকে স্পষ্ট করে তোলে। অর্থাৎ মনোযোগ সুস্পষ্ট এবং সুনির্দিষ্ট চেতনার স্বরূপ।

১০। সম্বন্ধ স্থাপনকারীঃ 

মনোযোগ বিভিন্ন বিষয়ের মাঝে সম্বন্ধ স্থাপন করে।

উপসংহারঃ 

উপযুক্ত আলোচনা হতে বলা যায়, মনোযোগ একটি মানসিক প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে ব্যক্তি অসংখ্য উদ্দীপক থেকে একটি নির্দিষ্ট উদ্দীপকের প্রতি মনকে আবদ্ধ করে। এক্ষেত্রে কতগুলো বৈশিষ্ট্য থাকে যার মাধ্যমে বিষয়টি সম্পর্কে অধিক অভিজ্ঞতা অর্জন করা যায়।

আমাদের শেষ কথা,

মনোযোগের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে আশা করছি আপনারা আজকের এই আর্টিকেল থেকে সকল কিছু ভালো ভাবে বুঝতে পেরেছেন। তাহলে আজকের এই আর্টিকেল যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে অবশ্যই আপনি আপনার বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করবেন। সকলে ভাল থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন ধন্যবাদ সবাইকে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এম আর টেক ইনফো ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url