শিক্ষণের বৈশিষ্ট্য

আসসালামু আলাইকুম, প্রিয় পাঠকগণ, আশা করছি আপনারা সকলে অনেক ভাল আছেন। আজকে আমরা এই আর্টিকেলের মধ্যে শিক্ষণ এর বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব।
ছবি
আপনারা যারা শিক্ষণের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে জানতে ইচ্ছুক তাহলে তারা অবশ্যই আজকের এই আর্টিকেল শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন। তাহলে চলুন বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

প্রশ্নঃ

শিক্ষণের বৈশিষ্ট্য।
শিক্ষণের বৈশিষ্ট্য তুলে ধর।
শিক্ষণের স্বরূপ তুলে ধর।

ভূমিকাঃ 

শিক্ষণ হচ্ছে এক ধরনের আচরণ যা অভিজ্ঞতার মাধ্যমে অর্জিত হয়ে আচরণের স্থায়ী পরিবর্তন ঘটায়। শিক্ষা হল একটি আজীবন মূল প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে ব্যক্তির নতুন কোন বিষয় সম্বন্ধে আয়ত্ত করে। আমরা সব বিষয়ে শিখি না। জীবনের জন্য যেগুলো প্রয়োজনীয় ও তাৎপর্যপূর্ণ কেবল সেসব বিষয় শিখি। যেমন নিয়মিত ব্যায়াম করলে শরীর স্বাস্থ্য ভালো থাকে এজন্য আমরা ব্যায়াম করি।

শিক্ষণের বৈশিষ্ট্যঃ 

শিক্ষণের সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয় সংজ্ঞা বিশ্লেষণে প্রেক্ষিতে শিক্ষণের যে বৈশিষ্ট্য গুলো পাওয়া যায় সেগুলোর নিচে তুলে ধরা হলো।
  1. আচরণের স্থায়ী পরিবর্তনঃ শিক্ষণের মাধ্যমিক আচরণের স্থায়ী পরিবর্তন ঘটে। যেমন শিক্ষণের কারণে ছাত্ররা শিক্ষক ক্লাসে আসলে দাঁড়িয়ে সম্মান প্রদর্শন করে।
  2. অনুষঙ্গ বা সংযোগঃ শিক্ষণের মাধ্যমে একাধিক আচরণের মধ্যে সংযোগ স্থাপিত হয়।
  3. বৃদ্ধি ও বিকাশের সাথে সম্পর্কিতঃ শিক্ষণ কেবল পারিপার্শ্বিক পরিবর্তনেরইফল নয়।শিক্ষণের মাধ্যমে ব্যক্তির বিভিন্ন সময়ের বৃদ্ধি ও বিকাশের তারতম্য করা সম্ভব।
  4. অভিজ্ঞতার মাধ্যমে অর্জনঃ শিক্ষণ সরাসরি বা পরোক্ষ অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে অর্জিত হতে পারে। অর্থাৎ শিক্ষণ পরিবেশের ঘটনাগুলোকে পর্যবেক্ষণের মধ্য দিয়ে যেমন আচরণ প্রভাবিত হতে পারে। আবার ওই পরিবেশের সাথে অংশগ্রহণের মধ্য দিয়েও শিক্ষা অর্জিত হয়।
  5. শিক্ষণের ইতিবাচক ও নীতিবাচক দিকঃ শিক্ষণের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এর ইতিবাচক ও নৈতিক বাচকতা।শিক্ষণের মাধ্যমে আচরণের যে পরিবর্তন ঘটে তা সব সময় ইতিবাচক নাও হতে পারে। যেমন মানুষ ভালো বিষয় শেখার সাথে সাথে খারাপ বিষয়গুলোও শিখতে পারে।
  6. কাঙ্খিত ফল লাভ বা প্রত্যাশিত ফলাফলঃ শিক্ষণের মাধ্যমে প্রত্যাশিত ফলাফ করা সম্ভব।শিক্ষণের মাধ্যমে অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে নতুন কৌশল আয়ত্ত করা পুরাতন পদ্ধতির উন্নতি সাধন করা এবং যথাযথ প্রক্রিয়া করার মাধ্যমে অন্যতম ফল লাভ করা।
  7. পরিমাপ যোগ্যতাঃ শিক্ষণকে যেহেতু সরাসরি প্রত্যক্ষভাবে দেখা সম্ভব নয় তাই কার্য সাধনের মধ্য দিয়ে শিক্ষণ সম্পর্কে ধারণা করা হয়। প্রভাবের মাধ্যমে শিক্ষণের কি পরিবর্তন হয় তাকে যেহেতু প্রত্যক্ষ করা সম্ভব নয় তাই কর্ম সম্পাদনের রেকর্ডের মাধ্যমে শিক্ষণ প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানা সম্ভব হয়।
  8. শিক্ষণের বিলুপ্তিঃ সাপেক্ষ প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পরবর্তীতে যদি বারবার শুধু সাপেক্ষ উদ্দীপকটিকে এককভাবে উপস্থাপনা করা হয় এবং অসাপেক্ষ উদ্দীপকটিকে এককভাবে উপস্থাপিত করা না হয় তাহলে ধীরে ধীরে সাপেক্ষ প্রক্রিয়াটি দুর্বল হয়ে আসবে এবং একসময় ক্রিয়া করার পর প্রাণী প্রতিক্রিয়া করবে না। ক্রমশ প্রক্রিয়াটির বিলুপ্তি ঘটবে।

উপসংহারঃ

উপযুক্ত আলোচনার প্রেক্ষিতে একথা বলা যায় যে, শিক্ষণ গবেষণার জন্য উল্লিখিত বৈশিষ্ট্য গুলো ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যা শিক্ষণ তত্ত্বকে সফলতা প্রদান করেছে তবে শিক্ষনের সব বৈশিষ্ট্য যে একেবারে ত্রুটিমুক্ত নয় তাও বলা যাবে না। কারণ এগুলোর মধ্যে অনেক কারণ রয়েছে। সকল শিক্ষণের ক্ষেত্রে এ বৈশিষ্ট্য গুলো অস্পষ্টতা বিদ্যমান।

আমাদের শেষ কথা,

শিক্ষণের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে আশা করছি সকল বিষয়ে আজকের এই আর্টিকেল থেকে ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন। তাহলে আজকের এই আর্টিকেল যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে অবশ্যই আপনি আপনার বন্ধুদের সঙ্গে এবং পরিচিতজনদের সঙ্গে শেয়ার করবেন। সকলে ভাল থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন ধন্যবাদ সবাইকে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এম আর টেক ইনফো ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url