স্মৃতির প্রকারভেদ

আসসালামু আলাইকুম, প্রিয় পাঠক গন, আশা করছি আপনারা সকলে অনেক ভাল আছেন। আজকে আমরা এই আর্টিকেলের মধ্যে স্মৃতির প্রকারভেদ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।
স্মৃতির প্রকারভেদ
আপনারা যারা স্মৃতির প্রকারভেদ সম্পর্কে জানতে ইচ্ছুক তাহলে অবশ্যই আজকের এই আর্টিকেল শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন। তাহলে চলুন স্মৃতির প্রকারভেদ সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

প্রশ্নঃ 

স্মৃতির প্রকারভেদ? 
স্মৃতির শ্রেণীবিভাগ লিখ? 
স্মৃতি কত প্রকার ও কি কি?
স্মৃতির প্রকারভেদ সংক্ষেপে লিখ? 

ভূমিকাঃ 

মনোবিজ্ঞানের স্মৃতি একটি বিশেষ আলোচিত বিষয়। দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন দিকে এর প্রয়োগ ও প্রয়োজনেতা উপলব্ধি করে থাকি। আমরা কি করে মনে রাখি কেনই বা ভুলে যাই? প্রয়োজনীয় বিষয়কে কিভাবে দীর্ঘদিন মনে ধরে রাখা যায় তা জানতে আমরা সকলেই আগ্রহী। মানুষের ব্রেন সারা জীবন তথ্যকে স্টোর করে রাখতে চাই। আমরা বাইরের জগৎ থেকে যেমন তথ্য সংগ্রহ করি সেগুলোকে সংরক্ষণ করে রাখার এবং পরবর্তীতে এ তথ্যগুলোকে পুনরুৎপাদন করার ক্ষমতাকে স্মৃতি বলা হয়। সহজভাবে বললে স্মৃতি হল, পূর্ব অভিজ্ঞতা বা শিক্ষনের সংরক্ষণ ও পুনরুৎপাদন। পরীক্ষণের ভাষায়, স্মৃতি = শিক্ষণ - বিস্মৃতি।

স্মৃতির প্রকারভেদঃ 

স্মৃতির সংগঠন বা কাঠামোকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়। যথা- 
  1. সংবেদি স্মৃতি।
  2. অল্পস্থায়ী স্মৃতি।
  3. দীর্ঘস্থায়ী স্মৃতি।

১। সংবেদি স্মৃতিঃ 

মানুষের স্মৃতির প্রথম পর্যায় হল, সংবেদি তথ্যভাণ্ডার। আমাদের চারপাশে থেকে প্রতিমুহূর্তে হাজার হাজার ইনফরমেশন অর ইস স্টিমুলাস আসে। কিন্তু এর থেকে গুটিকয়েক তথ্য প্রয়োজন অনুযায়ী গ্রহণ করি। প্রাথমিক অবস্থায় ক্ষুদ্রতম সময়ের জন্য যেখানে ইনফরমেশন স্টোর করি তাকে সংবেদি স্মৃতি বলা হয়। 

এখানে ১ বাই ১০০ সে, এর জন্য ইনফরমেশন স্মৃতিতে দায়ী থাকে।সংবেদি স্মৃতির দুটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য নিম্নরূপঃ- 

প্রথমত, এটা একসাথে বেশ কিছু তথ্য সংগ্রহ করে থাকে দেখা যায় বা শোনা যায় এমন উপাত্তকে সংবেদি স্মৃতি সংগ্রহ করে।

দ্বিতীয়ত, এটা তথ্যসমূহ কে অল্প সময়ের জন্য ১ বাই ১০০ সে, ধরে রাখে এবং এখান থেকে বিভিন্ন ভান্ডারে যায়।

২। অল্পস্থায়ী স্মৃতিঃ 

ইতি তথ্যকে প্রক্রিয়াজাতকরণের একটি কেন্দ্রস্থল। এটি কে তথ্যের প্রক্রিয়াজাতকরণের সংযোগ স্থল বলা হয়। সংবেদী স্মৃতি থেকে তথ্য শট টিম মেমোরিতে আসে। এখানেই ইনফরমেশন গুলো প্রথম মিনিংফুল হয়। ইনফরমেশন গুলোর দায়িত্ব কাল ১৫ থেকে ২৫ সে, ইনফরমেশন গুলো এখানেই থাকবে না অন্য কোথাও জমা করা হবে অথবা পাঠানো হবে তা নির্ণয় করে এস টি এম। একে ওয়ার্কিং মেমোরিয়াল বলা হয়।

আরো পড়ুনঃ মানসিক বয়স কি

আবার দীর্ঘস্থায়ী স্মৃতি ভান্ডার থেকে তথ্যসমূহ কে এখানে প্রত্যাবরন করে এনে নতুন তথ্যের সাথে মিলানো হয় আবার তথ্যসমূহ কে তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবহার করার জন্য এখানে সঞ্চিত করে রাখা হয়।

৩। দীর্ঘস্থায়ী স্মৃতিঃ 

এ ভান্ডারী তথ্যসমূহ সংঘটিত ও প্রক্রিয়াজাত হয়ে দীর্ঘদিন সংরক্ষণের জন্য সঞ্চিত থাকে। এ ভান্ডারে তথ্য ধারণ ক্ষমতা অসীম। দীর্ঘস্থায়ী স্মৃতিতে ইনফরমেশন গুলো এমন ভাবে উন্মুক্ত এবং তালিকাভুক্ত করা থাকে যাতে প্রয়োজনে আমরা তা ব্যবহার করতে পারি। যেমন আমার পিতামাতার নাম আমি যেকোনো সময় প্রত্যা বাহন করতে পারি। কিন্তু ছোটবেলার বন্ধুর নাম বিশেষ শর্তাবলির উপস্থিতিতে প্রত্যাবাহন করতে পারি।

উপসংহারঃ 

উপরের আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায়, মানব জীবনে স্মৃতি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আর এ স্মৃতির ক্ষেত্রে সংবেদী তথ্য ভান্ডার এবং প্রক্রিয়ার গুরুত্ব অপরিসীম এবং এসব ক্ষেত্রে যেগুলো অপরিহার্য তা হলো সংরক্ষণ এবং পুনরুৎপাদন।

আমাদের শেষ কথা,

স্মৃতির প্রকারভেদ সম্পর্কে আশা করছি আপনারা আজকের এই আর্টিকেল থেকে সম্পূর্ণ বিষয় পরিষ্কারভাবে এবং ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন। আজকে আর্টিকেল যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে অবশ্যই আপনি আপনার বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করবেন এবং পরিচিতজনদের সঙ্গে শেয়ার করবেন। এবং আপনাদের মূল্যবান মতামত কমেন্টের মাধ্যম জানাবেন। সকলের সুস্থ থাকুন এবং ভাল থাকুন ধন্যবাদ সবাইকে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এম আর টেক ইনফো ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url