মানসিক বয়স কি

আসসালামু আলাইকুম, প্রিয় পাঠকগন, আশা করছি আপনারা সকলে অনেক ভাল আছেন। আজকে আমরা এই আর্টিকেলের মধ্যে মানসিক বয়স কি এ বিষয় নিয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব।
মানসিক বয়স কি
আপনারা যারা মানসিক বয়স কি এ সম্পর্কে জানতে ইচ্ছুক তাহলে অবশ্যই তারা আজকের এই আর্টিকেল শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন। তাহলে চলুন মানসিক বয়স কি বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

প্রশ্নঃ 

মানসিক বয়স কি? 
মানসিক বয়স কাকে বলে?
মানসিক বয়সের সংজ্ঞা লিখ? 

ভূমিকাঃ 

মানসিক বয়স বলতে মূলত বুঝায় মানুষের মানসিক সক্ষমতা বা মানসিক পরিপক্কতা কে। বুদ্ধি পরিমাপ করার জন্য মানসিক বয়সের সর্বপ্রথম ব্যাখ্যা করেন আমেরিকার সটানফর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক টারম্যান বিনে। তিনি মানুষের বুদ্ধির পরিমাপ নির্ণয় করার জন্য প্রকৃত বয়সের সাথে সাথে মানসিক বয়সের বিষয়টি তুলে ধরেন। কারণ মানসিক বয়সেই হলো মানুষের বুদ্ধের সক্ষমতা প্রমাণের মাধ্যম। অনেকের প্রকৃত বয়সের চেয়ে মানসিক বয়স বেশি হয়। আবার এর উল্টোটাও হয়ে থাকে।

আরো পড়ুনঃ বুদ্ধাংক কি

মানসিক বয়সঃ 

জন্মের পর থেকে দিন গণনার মাধ্যমে যে বয়স নির্ণয় করা হয় তাকে বলা হয় প্রকৃত বয়স। আর মানসিক বয়স বলতে সাধারণত বোঝাই একটি শিশু যে বয়সে উপযোগী প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে বা উত্তর দেয়ার সক্ষমতা আছে তাকে বলা হয় মানসিক বয়স। মানসিক বয়স প্রকৃত বয়সের তুলনায় কম বা বেশি হতে পারে। যদি কোন শিশুর প্রকৃত বয়স ১০ বছর কিন্তু সে ১২ বছরের উপযোগী প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে ।

তখন ওই শিশুটির মানসিক বয়স হবে ১২ এবং এক্ষেত্রে শিশুটি অধিক বুদ্ধিসম্পন্ন বলে গণ্য করা হবে।
আবার এর বিপরীত হতে পারে। যেমন একটি শিশু আট বছরের শিশু যদি ছয় বছরের উপযোগী প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে এবং সে ৮ কিংবা বেশি বয়সের উত্তর দিতে ব্যর্থ হয় তখন তার মানসিক বয়স হবে 6। মোটকথা প্রকৃত বয়স যাই হোক না কেন মানসিক বয়স কম বেশি হতে পারে আর তা নির্ভর করবে শিশুর বুদ্ধিমত্তার উপর।

আরো পড়ুনঃ বুদ্ধির পরিমাপ

মনোবিজ্ঞানী বিনের অভীক্ষায় যদি ব্যক্তির বুদ্ধি পরিমাপ করা হয় তখন ব্যক্তির প্রকৃত বয়সের সাথে মানসিক বয়সের তুলনা করা হয়। যদি কোন ব্যক্তির প্রকৃত বয়সের তুলনায় মানসিক বয়স বেশি হয় তখন ওই ব্যক্তিটি বেশি বুদ্ধিমান আর যদি প্রকৃত বয়সের তুলনায় মানসিক বয়স কম হয় তখন ওই ব্যক্তির কম বুদ্ধি সম্পন্ন বলে ধরে নেওয়া হয়।

মোটকথা, মানসিক বয়স হচ্ছে ব্যক্তির মানসিক পরিপক্কতা বা মানসিক ক্ষমতা যা প্রকৃত বয়সের তুলনায় কমবেশি হতে পারে।

উপসংহারঃ 

উপরের আলোচনা হতে বলা যায় যে, মানসিক বয়স হলো ব্যক্তির বুদ্ধি ভিত্তিক দক্ষতা বা ক্ষমতা। মানুষের বুদ্ধি অভীক্ষা নির্ণয়ের জন্য মানসিক বয়স নির্ণয় করা জরুরী। ব্যক্তির বুদ্ধির সক্ষমতার উপর নির্ভর করে মানস।

আমাদের শেষ কথা,

মানসিক বয়স কি এই বিষয় সম্পর্কে আশা করছি আজকের এই আর্টিকেল থেকে আপনারা পরিপূর্ণ বিষয়ে ভালোভাবে এবং পরিষ্কারভাবে বুঝতে পেরেছেন। তাহলে আজকের এই আর্টিকেল যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে অবশ্যই আপনি আপনার বন্ধুদের সঙ্গে এবং পরিচিতজনদের সঙ্গে শেয়ার করবেন। এবং আপনাদের মূল্যবান মতামত আমাদেরকে কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন। তাহলে সকলে ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন ধন্যবাদ সবাইকে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এম আর টেক ইনফো ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url