ব্যক্তিত্বের বৈশিষ্ট্য

আসসালামু আলাইকুম, প্রিয় পাঠক গণ, আশা করছি আপনারা সকলে অনেক ভাল আছেন। আজকে আমরা এই আর্টিকেলের মধ্যে ব্যক্তিত্বের বৈশিষ্ট্য নিয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব।
ব্যক্তিত্বের বৈশিষ্ট্য
আপনারা যারা ব্যক্তিত্বের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে জানতে ইচ্ছুক তাহলে অবশ্যই আজকের এই শুরু থেকে একদম শেষ পর্যন্ত পড়ুন। তাহলে চলুন ব্যক্তিত্বের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে জেনে নেয়া জেনে নেওয়া যাক।

প্রশ্নঃ 

ব্যক্তিত্বের বৈশিষ্ট্য?
ব্যক্তিত্বের বৈশিষ্ট্য গুলো লিখ?
ব্যক্তিত্বের বৈশিষ্ট্য গুলো কি? কি?
ব্যক্তিত্বের মানদন্ডসমূহ তুলে ধরো?

ভূমিকাঃ 

একটি প্রবাদ আছে, বৈচিত্র্যতা জীবনের রং বা মসলা। প্রভাতটির সত্যতা কতটুকু তা জানা না থাকলেও এটি সত্য যে আমাদের চারপাশে রয়েছে বহু বিচিত্র মানুষের সমাহার। তাদের এ বিচিত্র আচরণ, পছন্দ, মনোভাব, আবেগের প্রকাশসহ হাজার অধিক বিচলিত ও প্রভাবিত। ব্যক্তি ভেদে এ ভিন্নতার সাথে সম্পর্কিত অন্যতম একটি বিষয় হচ্ছে ব্যক্তিত্ব।

ব্যক্তিত্বের বৈশিষ্ট্যঃ 

ব্যক্তিত্বের ধারণায় কয়েকটি দিক গুরুত্বপূর্ণ ভাবে সম্পর্কিত। এগুলোর মধ্যে ব্যক্তিত্বকে সংজ্ঞায়িত না করা গেলেও তা ব্যক্তিত্বের ধারণাকে স্পষ্ট করতে সহায়তা করে। নিচে ব্যক্তিত্বের বৈশিষ্ট্য সমূহ তুলে ধরা হলো। তাহলে চলুন ব্যক্তিত্বের বৈশিষ্ট্য বিস্তারিত জেনে নেই।

১। বৈশিষ্ট্য সূচকঃ 

ব্যক্তিত্বের অংশ হিসেবে ব্যক্তির আচরণের, চিন্তার বা অনুভবের অবশ্যই সময় ভিত্তিক ও ঘটনা বা অবস্থা ভিত্তিক ধারাবাহিকতা থাকতে হবে। এটি হচ্ছে ব্যক্তির অন্যতম বৈশিষ্ট্য।

২। পার্থক্য সূচকঃ 

ব্যক্তি যে চিন্তা, অনুভব ও আচরণ করে তা অবশ্যই স্বতন্ত্র হতে হবে। এ স্বতন্ত্রতার কারণেই প্রত্যেক ব্যক্তি আলাদা আলাদা ব্যক্তিত্বের অধিকারী।

৩। সম্পর্ক সূচকঃ 

ব্যক্তিত্বের অংশ হতে হবে অবশ্যই বৈচিত্র সূচক আচরণকে প্রার্থীববিষয় বা বাস্তবতার সাথে সম্পর্কযুক্ত করা।

৪। ধরন সূচকঃ 

প্রতিটি মানুষই নির্দিষ্ট ধরনের ব্যক্তিত্বের বৈশিষ্ট্য গুলোকে ধারণ করে। ব্যক্তির অন্তঃস্থ সমগ্র বৈশিষ্ট্যগুলোকে সংগঠিত করে নির্দিষ্ট ধরনের প্রকাশ করাই হচ্ছে ব্যক্তিত্বের মূল কথা।

৫। পারস্পরিক প্রতিক্রিয়াঃ 

জন্মের পর থেকেই মানুষের ওপর পরিবেশের বিভিন্ন শক্তি ক্রিয়া করে। এর ফলে ব্যক্তির অন্তর্নিহিত শক্তি, সহজাত প্রবৃত্তি ও প্রবণতা এবং পরিবেশের মধ্যে শক্তির যে পারস্পরিক প্রতিক্রিয়া শুরু হয় তার থেকেই ব্যক্তির ব্যক্তিত্ব বিকাশ লাভ করে।

৬। উপযোজনঃ 

ব্যক্তির সার্বিক আচরণ তার পারিপার্শ্বিক অবস্থার সাথে উপযোজন এর অংশ হিসেবে বিবেচিত। তাই খাপ খাওয়ানো ব্যক্তিত্বের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ।

৭। দৈহিক ও মানসিক ঐক্যঃ 

ব্যক্তিত্বের মানসিক ও দৈহিক বিষয়গুলো মিলে একটি সুসামজস্ব রূপ লাভ করে। ব্যক্তিত্ব হচ্ছে এক ধরনের সংহিত ও সুসংযোগস্য সংগঠন।

৮। পরিবর্তনশীলতাঃ 

পরিবর্তনশীল অবস্থার সাথে খাপ খাওয়াতে গেলে ব্যক্তিত্বের মধ্যেও পরিবর্তন দেখা যায়। তাই ব্যক্তিত্ব পরিবর্তনশীল, বিকাশ মান ও গতিশীল।

৯। ব্যক্তিত্ব সামাজিকঃ 

ব্যক্তির ব্যক্তিত্ব আত্মপ্রকাশ করে সামাজিক পরিবেশের মধ্য দিয়ে। সমাজের আচার ব্যবহার, রীতিনীতি ও ভাবধারা প্রভৃতি সামাজিক উপাদান সমূহ ব্যক্তিত্বকে প্রভাবিত ও সংঘটিত করে। তাই বলা যায়, ব্যক্তিত্ব সামাজিক।

উপসংহারঃ 

উপরের আলোচনার প্রেক্ষিতে বলা যায় যে, সকল আচার,-আচরণ, মনোভাব ব্যক্তিকে অন্যদের থেকে স্বতন্ত্র দান করে তাই ব্যক্তির ব্যক্তিত্ব। আর এ ব্যক্তিত্ব ফুটে উঠে তার স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যের মাধ্যমে। আর এজন্যই সমাজের প্রতিটি মানুষ ভিন্ন ভিন্ন ব্যক্তিত্বের অধিকারী।

আমাদের শেষ কথা,

ব্যক্তিত্বের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে আশা করছি আপনারা সকল বিষয় পরিষ্কার এবং পরিপূর্ণভাবে বুঝতে পেরেছেন। তাহলে আজকের এই আর্টিকেল যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে অবশ্যই আপনি আপনার পরিচিত জনদের সঙ্গে এবং বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করবেন। এবং আপনাদের মূল্যবান মতামত কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন। সকলে ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন ধন্যবাদ সবাইকে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এম আর টেক ইনফো ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url