সমাজকর্ম কি? সমাজকর্মের বৈশিষ্ট্য আলোচনা কর

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় পাঠকগণ, আশা করছি আপনারা সকলে অনেক ভাল আছেন। আজকে আমরা এই আর্টিকেলের মধ্যে সংস্কার কর্ম কি এবং সমাজ পুনরের বৈশিষ্ট্য নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।
ছবি
আপনারা যারা সমাজকর্ম কি এবং সমাজকর্মের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে জানতে ইচ্ছুক তাহলে অবশ্যই আজকের এই আর্টিকেল শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন। তাহলে চলুন সমাজকর্ম কি এবং সমাজকর্মের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

প্রশ্নঃ 

সমাজকর্ম কি? সমাজকর্মের বৈশিষ্ট্য আলোচনা কর? 
সমাজকর্ম কি? সমাজকর্মের বৈশিষ্ট্য গুলো বর্ণনা করে দেখাও?
সমাজকর্মের সংজ্ঞা দাও? সমাজকর্মের বৈশিষ্ট্য সমূহ আলোচনা কর? 
সমাজকর্ম বলতে কি বুঝ? সমাজ কর্মের মানদন্ড সমূহের বিবরণ দাও? 

ভূমিকাঃ 

সমাজকর্ম আধুনিক সমাজকল্যাণের একটি বিজ্ঞানসম্মত সাহায্যকারী পদ্ধতি। সমাজের জটিল ও বহুমুখী সমস্যা মোকাবিলায় সমাজকর্মের গুরুত্ব অত্যাধিক। বর্তমানে সমাজকর্ম সারা বিশ্বে পেশা হিসেবে স্বীকৃত। এটি সমাজ কল্যাণের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রত্যয় হিসেবে বিবেচিত।
আরো পড়ুনঃ দল সমাজকর্ম কি

সমাজকর্মের সংজ্ঞাঃ 

সমাজকল্যাণের আধুনিক পরিশীলিত রূপ হল পেশাদার সমাজকর্ম। এটি এমন একটি সাহায্যকারী পেশার যা কতগুলো পদ্ধতির মাধ্যমে ব্যক্তি, দল বা সমষ্টির সমস্যার সমাধানে এমনভাবে সহায়তা করে যাতে তারা নিজেরাই নিজেদের সমস্যা সমাধানের সক্ষম হয়। এর মাধ্যমে ব্যক্তি বা দলের পূর্ণ বিকাশ ও উন্নতি লাভ করা সম্ভব হয়।

জাতিসংঘ সচিবালয় সমাজকর্মের একটি সংক্ষিপ্ত সংলাপ প্রদান করেছেন।

UNO এর মতে,

সমাজকর্ম এমন এক ধরনের কার্যাবলী যা ব্যক্তি ও তার পরিবেশের মধ্যে সমঞ্জস্যপূর্ণ পারস্পরিক সম্পর্কের সৃষ্টি দ্বারা তাদের সাহায্য করতে চায়।

জাতিসংঘ সচিবালয় প্রদত্ত সংজ্ঞাটিতে ব্যাক্তি ও পরিবেশের মধ্যে সুসম্পর্কের বিষয়টি ফুটে উঠেছে এবং এর ফলে উভয়ে একে অপরের সহায়তা পেয়ে থাকে। তবে এটি একটি সংক্ষিপ্ত সংজ্ঞা হওয়ায় সমস্যা সমাধানে সমাজকর্মের পদ্ধতি বা প্রক্রিয়ার দিকটি অনুপস্থিতি রয়েছে।

হার্বাট বিষ্ণু বলেন,

সমাজকর্ম সেই সেবা ব্যবস্থা যা সমাজে পূর্ণ এবং কার্যকরী অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে যেসব সামাজিক ও মনস্তাত্ত্বিক বাধা বর্তমানে রয়েছে এবং ভবিষ্যতে আসতে পারে সেগুলো দূরীকরণে মানুষকে একক কিংবা দলীয়ভাবে সাহায্য করে থাকে।

হার্বাট বিষ্ণু প্রদত্ত সংজ্ঞায় সামাজিক ও মনস্তাত্ত্বিক সমস্যা সমাধানে জনগণের অংশগ্রহণের ব্যাপারটা স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে। এছাড়া এ সংজ্ঞাটিতে বর্তমানের পাশাপাশি ভবিষ্যতের সমস্যা সমাধানের ব্যাপারেও সতর্ক করা হয়েছে। তবে এ সংখ্যাটি দুর্বল প্রকৃতির।

সমাজকর্ম সম্পর্কে W. A. Friedlander বলেন, 

Social Work is a professional service basid upon scientific knowledge and skill in human relation with assist individuals alone or in group 2 obtain social and personal satisfaction and independence.

W. A. Friedlander সংজ্ঞাই পেশায় বৈশিষ্ট্যটি ফুটে উঠেছে। তিনি সমাজকর্মকে সাহায্যকারী ও দক্ষতা সম্পন্ন পেশা এবং সেবার মান-সন্তজ জনক বলে উল্লেখ করেছেন। তার সংজ্ঞা সমাজকর্মী এবং সহকর্মীর বিষয়টি ফুটে উঠেছে। এ সংজ্ঞাটি সমাজকর্মের একটি সফল সংজ্ঞা।

সমাজ কল্যাণ অভিধানের ভাষায়,

সমাজকর্ম হলো অভ্যন্তরীণ সম্পর্কের ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত কৌশলের নৈতিক ও উদ্দেশ্যমূলক প্রয়োগ যা ব্যক্তি দল বা প্রতিবেশীর কাঙ্ক্ষিত এবং সামাজিক কার্যক্রম জোরদার করার উদ্দেশ্য পরিচালিত হয়ে থাকে যা সকলের কল্যাণের জন্য সহায়ক সামাজিক পরিবেশ সৃষ্টিতে প্রয়োগিক অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগায়।

ওয়াল্টার ডাবলু বোয়েম  

এ সং ভাই ব্যক্তি ও দলের সামাজিক ভূমিকা পালন এবং অন্তক্রিয়া সৃষ্টির দিকে গুরুত্ব প্রদান করেছেন। তাছাড়া ব্যক্তি ও দলকে সাহায্য করার দিকটিও সংজ্ঞায় ফুটে উঠেছে। তবে তিনি তার সন্ধ্যায় সমাজকর্মের পেশাগত দিক এবং ব্যক্তিগত কথাটি উল্লেখ করেননি।

National Association of social workers(NASW) এর Board of Director 1970 সালে সমাজকর্মের সংজ্ঞা নির্ধারণ করেছেন। 

NASW এর মতে,

সমাজকর্ম ব্যক্তি দল ও সাহায্য করবে এক পেশাগত কর্মকাণ্ড যা তাদের সামাজিক ভূমিকা পালন ক্ষমতাকে পুনরুদ্ধার ও শক্তিশালী করে এবং সামাজিক লক্ষ্য উপযোগী করে তোলে।

সমাজকর্ম অভিধান এর ব্যাখ্যা অনুযায়ী,

সমাজকর্মের একটি ব্যবহারিক বিজ্ঞান যা মানুষকে মনোসামাজিক ভূমিকা পালন ক্ষমতার একটি কার্যকর পর্যায়ে উপনীত হতে সাহায্য করে এবং মানুষের কল্যাণকে শক্তিশালী করনে কার্যকর সামাজিক পরিবর্তন আনয়ন করে।

সমাজকর্ম অভিধানের সংজ্ঞায় ব্যক্তি দল ও প্রতিবেশীর ব্যাপারটা স্পষ্ট ভাবে ফুটে উঠেছে। এখানে সমাজের সকল মানুষের কল্যাণে সমাজকর্মের অভিজ্ঞতা কে কাজে লাগানোর কথা বলা হয়েছে। এছাড়া পরিবেশের উপর জোর দেওয়া হয়েছে।
সুতরাং বলা যায়, সমাজকর্ম মানব কল্যাণ সংশ্লিষ্ট ব্যবহারিক দক্ষতা সম্পন্ন এমন এক প্রকার পেশা যা মানুষকে বহুমুখী সমস্যা সমাধানে সহায়তা করে। এটি মানুষকে বিভিন্ন পদ্ধতি প্রয়োগের মাধ্যমে সামাজিক ভূমিকা পালনে এমনভাবে সহায়তা করে যাতে তারা নিজেরাই নিজেদের সমস্যা সমাধানে সক্ষম হয়।

সমাজকর্মের বৈশিষ্ট্যঃ 

উপর যুক্ত সংজ্ঞা সমূহের আধুনিক সমাজকর্মের স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে। নিচে সংজ্ঞা সমূহের আলোকে সমাজকর্মের বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করা হলো।

১। বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গিঃ 

আধুনিক সমাজকর্মের দৃষ্টিভঙ্গি বিজ্ঞান নির্ভর। এখানে কুসংস্কারের কোন স্থান নেই। সমাজকর্ম মানুষের সমস্যার প্রকৃত কারণ খুঁজে বের করা হয় এবং সমস্যার প্রেক্ষিতে বাস্তবসম্মত সমাধান দেওয়া হয়। আর যারা সমস্যার সমাধানে কাজ করে থাকেন তারা হলেন সমাজকর্ম। উন্নত দেশ তাদেরকে সামাজিক ডাক্তার বলা হয়।

২। সংগঠিত সাহায্য দান পদ্ধতিঃ 

আধুনিক সমাজকর্মের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল সুসংগঠিত সাহায্য দান পদ্ধতি। সমাজকর্ম সংগঠিত ও পরিকল্পিত উপায়ে সমাজের সকল মানুষের জীবনমান উন্নয়নের সহায়তা করে থাকে। এ সু সংগঠিত সাহায্যদান প্রক্রিয়ায় একে সনাতন সমাজকর্ম থেকে আলাদা সত্তা দান করেছে।

৩। সক্ষমকারী প্রক্রিয়াঃ 

মানুষকে সক্ষম করে তোলা আধুনিক সমাজকর্মের গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। সমাজকর্ম যার সাহায্য প্রয়োজন তাকে এমনভাবে সহায়তা করে যাতে ব্যাক্তি তার ও সামর্থর সদ্ব্যবহার মাধ্যমে স্বনির্ভরতা অর্জন করতে পারে। এতে সমাজ পরমুখাপেক্ষিতা দূর হয়। সমাজ উন্নয়নের দিকে ধাবিত হয়।

৪। সর্বজনীন কল্যাণঃ  

সমাজকর্ম কার্যক্রম কোন বিশেষ শ্রেণী বা দলের জন্য নয়। সমাজের সকল শ্রেণী বা দল অর্থাৎ ছোট-বড় উঁচু নিচু ধনী গরিব সাদাকালো প্রভৃতি সকল মানুষের কল্যাণ সাধন করা এর অন্যতম বৈশিষ্ট্য।

৫। সামগ্রিক দৃষ্টিভঙ্গিঃ 

মানুষের দৈহিক মানসিক সামাজিক অর্থনৈতিক রাজনৈতিক ও নৈতিক দিকসহ জীবনের সকল দিক পরস্পর সম্পর্কযুক্ত। এগুলো একটিকে বাদ দিয়ে অন্যটির উন্নয়ন চিন্তা করা যায় না। সমাজকর্ম মানুষের সকল দিকের উন্নয়নে সামগ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে কাজ করে থাকে। এটি এর বিশেষ বৈশিষ্ট্য।

৬। সমস্যার স্থায়ী সমাধানঃ 

সমাজকর্মের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হল মানুষের সমস্যার স্থায়ী সমাধান করা। সমস্যার কারণ প্রকৃতি ও পরিধি নির্ণয় করে যথাযথ সমাধানের পথ নির্দেশ দিয়ে থাকে সমাজকর্মী। এখানে সমস্যার স্থায়ী সমাধান প্রক্রিয়ায় সমাজকর্মের বিভিন্ন পদ্ধতি ও নিজস্ব সম্পদের ব্যবহার করে থাকে।

৭। পেশাগত জ্ঞান অর্জনঃ 

মানুষের সকল দিকের সমস্যার সমাধানের জন্য সমাজকর্মীদের পেশাগত জ্ঞান অর্জন করা অপরিহার্য। কারণ পেশাগত জ্ঞান ও দক্ষতা সম্পন্ন সমাজকর্মীদের পক্ষেই আধুনিক সমাজকর্ম পরিচালনা করা সম্ভব তাই পেশাগত জ্ঞান অর্জন সমাজকর্মের একটি বৈশিষ্ট্য।

৮। গতিশীল ভূমিকাঃ 

সমাজ পরিবর্তনশীল। কোনো সমাজই সব সময় এক রকম থাকে না। ফলে কোন সামাজিক প্রথার পরিবর্তন সাধিত হলে সেই সমাজের সমস্যার পরিবর্তন ঘটে। সমস্যার পরিবর্তন হলে সমাজকর্ম কর্মসূচিরও পরিবর্তন ঘটে। তাই গতিশীল ভূমিকা রাখা সমাজকর্মের আরেকটি বৈশিষ্ট্য।

৯। ত্রিমুখী পদক্ষেপঃ 

সমাজকর্ম সমস্যা সমাধানের প্রতিকার প্রতিরোধ ও উন্নয়ন এই তিন ধরনের ভূমিকা পালন করে থাকে। সমস্যার যথাযথ সমাধান করার মাধ্যমে কাঙ্খিত সামাজিক উন্নয়ন নিশ্চিতকরণে সমাজকর্মের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে ত্রিমুখী ভূমিকা পালন করা।

১০। সমস্যাগ্রস্থদের অংশগ্রহণঃ 

সমাজকর্ম বিশ্বাস করে যে সমস্যাগ্রস্থরা সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করলে তাদের সমস্যা সমাধান তারা নিজেরাই করতে সক্ষম হবে। তাই সমস্যার সমাধানে সাহায্যার্থীদের অংশগ্রহণ অপরিহার্য। এটি তার অন্যতম বৈশিষ্ট্য হিসেবে সমাজকর্মে বিবেচিত।

১১। জাতীয় উন্নয়নঃ 

জাতীয় উন্নয়ন ব্যতিরেকে ভাগ্যনয়ন করা সম্ভব নয়। সমাজকর্ম এই লক্ষ্যে কাজ করে থাকে তাই সমাজের উন্নয়নের মধ্যে যোগসূত্রতা স্থাপনের মাধ্যমে জাতীয় উন্নয়নের সহায়তা করা সমাজকর্মের অন্যতম বৈশিষ্ট্য।

১২। সুপ্ত ক্ষমতার বিকাশঃ 

সুপ্ত ক্ষমতার বিকাশ ব্যতীত ব্যক্তির সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। প্রতিভার বিকাশের মাধ্যমে ব্যক্তি স্বাবলম্বী হয়ে উঠতে পারে। সমাজকর্ম সমাজের প্রতিটি মানুষের স্বনির্ভরতা অর্জনের নীতিতে বিশ্বাস করে। এজন্যই মানুষের ব্যক্তিত্বের বিকাশের সমাজকর্মে সর্বাধিক গুরুত্ব করা হয়।

১৩। সামাজিক পার্থক্য হ্রাসঃ 

সমাজে ব্যক্তির সাথে ব্যক্তির ব্যবধান সামাজিক সাম্য ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় বাধা সৃষ্টি করে। তাই সমাজের যে কোন ধরনের অসামঞ্জস্যতা দূর করা সমাজকর্মের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য।

১৪। জনগণের চাহিদাকে অগ্রাধিকারঃ 

সমাজকর্ম জনগণের চাহিদাকে অগ্রাধিকার দিয়ে কর্মসূচি প্রণয়ন করে থাকে। মানুষের সমস্যার সাথে মিলিয়ে কর্মসূচি প্রণয়ন করলে সমাধানও সহজ হয় তাই জনগণের প্রয়োজনের ওপর গুরুত্ব প্রদান সমাজকর্মের আরেকটি বৈশিষ্ট্য।

১৫। সম্পদের যথার্থ ব্যবহারঃ 

সমাজকর্ম সম্পদের সদ্ব্যবহার নিশ্চিত করে। কিভাবে সকল সম্পদের ব্যবহার যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমে সমাজ মানুষের সমস্যা সমাধান করা যায় তার ব্যবস্থা করে থাকে সমাজকর্ম।

উপসংহারঃ 

পরিশেষে বলা যায় যে, সমাজস্ত সকল মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন সাধন করা সমাজকর্মের একটি অন্যতম বৈশিষ্ট্য হিসেবে স্বীকৃত। এজন্যই উন্নত জীবনমান অর্জনের লক্ষে সমাজকর্ম সহায়তা অত্যাবশ্যক। সমাজকর্ম একটি বিজ্ঞানভিত্তিক পদ্ধতি হিসেবে মানুষের সমস্যার সমাধান সক্ষম। একটি সুন্দর সমাজ বিনির্মাণে সমাজকর্মের উক্ত বৈশিষ্ট্য সমূহের উপস্থিতির অপরিহার্য।

আমাদের শেষ কথা,

সমাজকর্ম কি? সমাজকর্মের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে আশা করছি আজকের এই আর্টিকেল থেকে আপনারা পরিপূর্ণ বিষয়ে ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন। তাহলে আজকের এই আর্টিকেল যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে অবশ্যই আপনি আপনার পরিচিত জনদের সঙ্গে শেয়ার করবেন। সকলে ভাল থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন ধন্যবাদ সবাইকে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এম আর টেক ইনফো ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url