ব্যান্ডউইথ কি

ব্যান্ডউইথ কি-একটি নির্দিষ্ট সময়ে চ্যানেল দিয়ে যে পরিমাণ ডেটা স্থানান্তরিত হয় তার পরিমাণকে ব্যান্ডউইথ হিসেবে পরিমাপ করা হয়। অনেক সময় এই বিষয়টাকে ডাটা ট্রান্সমিশন স্পিড হিসেবেও চিহ্নিত করা হয়। ব্যান্ডউইথ কি এ বিষয় সম্পর্কে যদি ভালোভাবে জানতে চান তাহলে আজকের এই আর্টিকেল শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
ছবি
আজকের এই আর্টিকেল থেকে আপনারা খুব সহজেই জানতে পারবেন আসলে ব্যান্ডউইথ কি। ব্যান্ডউইথ সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য সম্পর্কে আজকে আমরা এই আর্টিকেলের মধ্যে ব্যান্ডউইথ সম্পর্কে তুলে ধরব। ব্যান্ডউইথ হল ডেটা ট্রান্সমিশন স্পিড। তাহলে চলুন বেশি দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক ব্যান্ডউইথকি এবং ব্যান্ডউইথ কিভাবে কাজ করে এ সকল বিষয় সম্পর্কে।

পেজ সূচিপত্রঃ ব্যান্ডউইথ কি 

ব্যান্ডউইথ কি

ব্যান্ডউইথ কি-একটি নির্দিষ্ট সময়ে চ্যানেল দিয়ে যে পরিমাণ ডেটা স্থানান্তরিত হয় তার পরিমাণকে ব্যান্ডউইথ হিসেবে পরিমাপ করা হয়। অনেক সময় এই বিষয়টাকে ডাটা ট্রান্সমিশন স্পিড হিসেবেও চিহ্নিত করা হয়।

ডেটা ট্রান্সমিশন স্পিড এর একক হল বিপিএস, অর্থাৎ এর পূর্ণরূপ হল বিট পার সেকেন্ড। অর্থাৎ প্রতি সেকেন্ডে যে পরিমাণ ডেটা বিট স্থানান্তরিত হয় তার পরিমাপকে বিপিএস বলা হয়। নির্দিষ্ট পরিমাণ বিপিএস যখন ডেটা ট্রান্সমিশন এর গতির একক হিসেবে চিহ্নিত হয়, তখন সেটিকে ব্র্যান্ড বা ব্যান্ডউইথ বলা হয়।
বিভিন্ন মাধ্যমে ডেটা স্থানান্তরের গতিকে ব্যান্ডউইথ বলা হলেও ব্যান্ডউইথ শব্দটি আসলে বিভিন্ন ধরনের ইন্টারনেট সার্ভিসের স্পিড বোঝাতে এখন ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। উচ্চ ব্যান্ডউইথ হলে প্রতি সেকেন্ডে চ্যানেলের মধ্য দিয়ে বেশি পরিমাণ ডাটা পরিবাহিত হয়। এর ফলে দ্রুতগতির সার্ভিস পাওয়া যায়। যেমন ছবি বা ভিডিও এর মত বেশি পরিমাণে ডেটা।

এক্ষেত্রে তুলনামূলক কম সময় ডাউনলোড হবে। আর ব্যান্ডউইথ কম হলে চ্যানেলের মধ্য দিয়ে প্রতি সেকেন্ডে পরিবাহিত ডেটা পরিমাণ কম হবে। এর ফলে ছবি ভিডিও এর মত বেশি পরিমাণে ডেটা গুলো আসতে অনেক সময় লাগবে বা অনেক ক্ষেত্রে তা নাও আসতে পারে। উচ্চ ব্যান্ড ইন্টারনেট কানেকশন থাকলে অনেক বেশি ডেটা দ্রুত সময় ডাউনলোড ও আপলোড করা যায়। ইন্টারনেট স্বাচ্ছন্দ ভিডিও দেখা যায় এবং অডিও শোনা যায়।

ব্যান্ডউইথ একক হিসেবে

প্রতি সেকেন্ডে একবিট ডেটা স্থানান্তরিত হওয়ার হার কি বিপিএস অর্থাৎ বিটপার সেকেন্ড বলে। তথ্যের ক্ষুদ্রতম একক হল বিট। বিটের পুরো নাম হলো বাইনারি ডিজিট। এক বিট সমান বাইনারি তথ্য ০ বা ১ । ৮বিটে এক বাইট সমান ১ ক্যারেক্টার।
  • bps বিপিএস অর্থ হলো bit per second বিট পার সেকেন্ড 1 বিট সমান 1 বা o ।
  • kbps কেবি পিএস হল kilobite per second কিলোবাইট পার সেকেন্ড 1024 বিটে সমান এক কিলোবিট।
  • Mbps এমবিপিএস হল megabite per second মেগাবাইট পার সেকেন্ড 1024 কিলোবিট সমান 1 মেগা বিট।
  • Gbps জিবিপিএস হল gigabits per second গিগা বাইট পার সেকেন্ড 1024 মেগাবিট সমান 1 গিগাবিট।
  • Tbps টিবিপিএস terabits per second টেরাবাইট পার সেকেন্ড 1024 গিগাবিট সমান 1 টেরাবিট।
  • pbps পিবিপিএস peta bit per second পেটা বিট পার সেকেন্ড 1024 টেরাবিট সমান 1 পেটাবিট।

কমিউনিকেশন গতির শ্রেণীবিভাগ

ডেটা ট্রান্সফার গতির উপর ভিত্তি করে কমিউনিকেশন গতিকে তিনভাগে ভাগ করা যায়। তাহলে চলুন এখন জেনে নেয়া যাক কমিউনিকেশন গতির তিন ভাগ গুলো কি কি।
  1. ন্যারোব্যান্ড
  2. ভয়েসব্যান্ড
  3. ব্রডব্যান্ড

ন্যারোব্যান্ড

ন্যারো ব্যান্ড সাধারণত ৪৫ থেকে ৩০০ বিপিএস পর্যন্ত হয়ে থাকে। এই ব্র্যান্ড ধীরগতি সম্পূর্ণ ডেটা ট্রান্সমিশনের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। সাধারণত টেলিফোনির ক্ষেত্রে এই ব্র্যান্ড টির অধিক লক্ষ্য করা যাই। টেলিফোনের ক্ষেত্রে ন্যারো ব্যান্ড সাধারণত ৩০০ থেকে ৩৪০০ হর্স ফ্রিকুয়েন্সি প্রদান করে থাকে। যেহেতু শব্দ তরঙ্গ ন্যারো রেঞ্জের ফ্রিকুয়েন্সিতে পরিবাহিত হয়ে থাকে তাই ন্যারোয়েন্ট কে অডিও স্প্রেক্ট্রাম এর সাথে সমন্বিত ভাবে শব্দ ধারণে ব্যবহার করা হয়।
একসময় টেলিগ্রাফে টেক্সট মেসেজ প্রদানে ন্যারো ব্যান্ড ব্যবহৃত হতো। তবে বর্তমানে তুলনামূলকভাবে খুবই সংক্ষিপ্ত দূরত্বে এবং হাই কোয়ালিটির ভয়েস ডাটা প্রয়োজন নেই। এমন যোগাযোগের জন্য ন্যারো ব্র্যান্ড ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো পুলিশ বা অ্যাম্বুলেন্স পারস্পরিক কমিউনিকেশন। ওয়াকি টকি ব্লু টু জিগবি টু এ রেডিও ইত্যাদি। । ন্যারো ব্যান্ড ব্যবহৃত হয়এমন একটি ডিভাইস হল পেজার।

ভয়েস ব্যান্ড

ভয়েস ব্যান্ডের গতি ৯৬০০ বিপিএস পর্যন্ত হয়ে থাকে। এটি সাধারণত টেলিফোনে বেশি ব্যবহৃত হয়ে থাকে। টেলিফোন লাইনে এ ব্যান্ডে প্রায় ৩০০ থেকে ৩৪০০ হর্স ফ্রিকুয়েন্সিতে তথ্য স্থানান্তর করা যায়। টেলিফোনের ক্ষেত্রে ফ্রিকুয়েন্সি ডিভিশন মাল্টিপ্লেক্সিং এবং সাধারণত ৪ কিলো হর্স ক্যারিয়ার স্পেসিং ব্যবহৃত হয়ে থাকে। কম্পিউটার থেকে প্রিন্টারে,

কিবোর্ড থেকে কম্পিউটারে অথবা কার্ড রিডার থেকে কম্পিউটারের ডেটা স্থানান্তরের ক্ষেত্রেও ভয়েস ব্যান্ড ব্যবহার করা হয়ে থাকে। কোন ডিভাইসের ব্র্যান্ডউইথ ৩০০বিপিএস এর অধিক হতে ৯ কেবি পিএস পর্যন্ত হলে তা সাধারণভাবে সমতুল্য হবে। ভয়েস ব্যান্ডকে ভয়েস ফ্রিকুয়েন্সি নামে অভিহিত করা হয়। আগে ইন্টারনেট এক্সেস করার জন্য যে ডায়ালাব মডেমটি ব্যবহার করা হতো সেটি ভয়েস ব্যান্ডের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ব্যবহার। ব্যান্ড মডেল গুলোর ব্যান্ড উইথ ৫৬ কেবিপিএস।

ব্রডব্যান্ড

উচ্চ গতি সম্পন্ন ডাটার স্থানান্তর প্রক্রিয়ায় ব্রডব্যান্ড ব্যবহার করা হয়ে থাকে। ব্রডব্যান্ড এ বিস্তৃত ব্যান্ডউইথ এবং অধিক তথ্য বহনের ক্ষমতা থাকে। ইব্রাহিমের গতি এক এমবিপিএস মেগাপবট সেকেন্ড বা এর চেয়ে বেশি হয়ে থাকে। সাধারণত ডিজিটাল সাবস্ক্রাইবার লাইন বা ডি এস এল রেডিও লিংক অপটিক্যাল ফাইবার মাইক্রোওয়েভ এবং স্যাটেলাইট কমিউনিকেশন এর।
ক্ষেত্রে ডেটা স্থানান্তরের এ ব্রডব্যান্ড ব্যবহার করা হয়ে থাকে। ডেটা কমিউনিকেশন স্পিডের তারতম্যের ফলে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের র উদ্ভব হয় আর এসব ব্র্যান্ড আবার বিভিন্ন গতি সম্পন্ন বিভিন্ন প্রযুক্তিতে ডেটা স্থানান্তর ব্যবহার করা হয়ে থাকে। নিচে এদের সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলোঃ-তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক।

ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট

ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট হল উচ্চগতির ইন্টারনেট কানেকশন। ব্যবহারকারীর অবস্থা মূল্য এটি টেলিফোন নাকি ওয়ারলেস মিডিয়া কার সাথে যুক্ত এসব ফ্যাক্টরের উপর ভিত্তি করে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট কানেকশন কয়েক রকম হতে পারে যথা-
  • ডিজিটাল সাবসস্ক্রাইবার লাইন
  • ক্যাবল মডেম
  • ওয়ারলেস
  • স্যাটেলাইট
  • ব্রডব্যান্ড ওভার পাওয়ার লাইন

আমাদের শেষ কথা,

ব্যান্ডউইথ কি এ বিষয় সম্পর্কে আশা করছি আপনারা সকল কিছু ভালভাবে বুঝতে পেরেছেন। তাহলে আজকের এই আর্টিকেল যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনি আপনার বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করবেন। ব্যান্ডউইথ কি এ বিষয় সম্পর্কে আপনাদেরকে জানাতে পেরে আমরা অনেক বেশি আনন্দিত। তাহলে সকলে ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন ধন্যবাদ সবাইকে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এম আর টেক ইনফো ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url