গণমাধ্যম কাকে বলে
আসসালামু আলাইকুম, প্রিয় পাঠকগণ। আশা করছি আপনারা সকলে অনেক ভাল আছেন, আজকে আমরা এই আর্টিকেলের মধ্যে গণমাধ্যম কাকে বলে এই বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।
আপনারা যারা গণমাধ্যম কাকে বলে এই বিষয় সম্পর্কে জানতে ইচ্ছুক তাহলে তারা অবশ্যই আজকের এই আর্টিকেল একদম শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন। তাহলে চলুন গণমাধ্যম কাকে বলে জেনে নিই।
প্রশ্নঃ
গণমাধ্যম কি?
গণমাধ্যম কাকে বলে?
গণমাধ্যমের সংজ্ঞা দাও?
ভূমিকাঃ
মানুষ সামাজিক জীব। স্বাভাবিক কারণেই মানুষ একে অপরের সান্নিধ্য আসতে চাই। সমাজবদ্ধ মানুষ একে অপরের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করে। যার ফলশ্রুতিতেই হচ্ছে সমাজ। সমাজ গড়ার যে প্রেরণা কাজ করছে তা হচ্ছে সংঘবদ্ধ জীবন যাপন করা। মানুষ যখনই একে অপরের কাছে হাসা সুযোগ পেয়েছে তখনই শুরু হয়েছে তাদের মধ্যে আন্তঃক্রিয়া।
আরো পড়ুনঃ জনমতের গুরুত্ব
যোগাযোগের মাধ্যমেই মানুষ একে অপরের কাছে আসার সুযোগ পেয়েছে। মানুষ তার দুঃখ বেদনা, হাসি-কান নাই একে অপরকে বুঝতে শিখেছে। পারস্পরিক ক্রিয়ার মাধ্যমে সামাজিক আচরণকে নিয়ন্ত্রণ করেছে। আর এ আন্ত ক্রিয়ার অন্তর্নিহিত প্রক্রিয়াটির নামই যোগাযোগ। অক্সফোর্ড ডিকশনারি এর ভাষায় যোগাযোগ বলতে বোঝায়, কোন কিছু জ্ঞাত কর্ প্রদান করা এবং অংশগ্রহণ করা।
আমেরিকান পরিচালক প্রশিক্ষণ সোসাইটির মতে,
Communication is the inter change of thought and information to bring about mutual understanding and confidence or good human relations''
তারা আরো বলেছেন, Communication is an exchange of facts, ideas, opinions or emotions by two or more person.
গণমাধ্যমঃ
গণমাধ্যম বর্তমান সময়ে একটি অতি পরিচিত প্রত্যয় যে মাধ্যমের সাহায্যে জনগণের যোগাযোগ প্রক্রিয়ার সুসম্পন্ন হয় তাকে গণমাধ্যম বলা হয়। যে বাহনের সাহায্যে জনগণ পরস্পর পরস্পরের খোঁজখবর নিতে পারে তাকে গণমাধ্যম বলা হয়। সহজ কথাই যে মাধ্যমের সাহায্যে জনগণ তাদের তথ্যদি আগাম প্রদান করে থাকেন তাকেই গণমাধ্যম বলা হয়।
সর্বস্তরের জনগণের মধ্যে সকল পর্যায়ের যোগাযোগ, ভাব ও অনুভূতির আদান-প্রদান, বিভিন্ন তথ্য ও সংবাদ আদান-প্রদান প্রভৃতি সব বিষয় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে গণমাধ্যমের দ্বারাই সম্পাদিত হয়। বিশ্ব মানব সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে জনগণের মধ্যে সম্পর্ক ও সংযোগ সৃষ্টির বাহনই গণমাধ্যম। এই কথা অনস্বীকার্য যে, Mass media is indespensible for mens communication.
আরো পড়ুনঃ জনমত কাকে বলে
গণমাধ্যমের বস্তুনিষ্ঠ ও গঠনমূলক ভূমিকা জনগণকে তার সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক জীবন সম্পর্কে সম্মুখ ধারণা প্রদান করা। জন ডি. মিলেটের মতে, গণমাধ্যম তিন প্রকার। তা নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলোঃ
- শ্রাব্য,
- দর্শনীয় ও
- শ্রাব্য দর্শনীয়।
১। শ্রাব্যঃ
শ্রাব্য মাধ্যম হচ্ছে সভা, পরিদর্শন মূলক সফর, সাক্ষাৎকার, বেতার, দুরাল আপন, আন্ত সংযোগ ইত্যাদি। শ্রাব্য বহন থেকে শ্রোতারা প্রধানত শ্রবণ করে থাকে অন্তরীন ও বহির্জগত সম্বন্ধীয় বহু মূল্যবান ঘটনার বিবরণ। এসব মাধ্যমের সাহায্যে অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক আঙ্গনে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে।
২। দর্শনীয়ঃ
দর্শনীয় গণমাধ্যম বলতে লিখিত এবং ছবি সংক্রান্ত উভয় প্রকার গণমাধ্যমকেই বোঝায়। লিখিত মাধ্যম হচ্ছে সাধারণত ছাপানো নির্দেশ, সার্কুলার, নিয়মাবলী, বুলেটিন, প্রতিবেদন। আর ছবি সংক্রান্ত মাধ্যম হচ্ছে ছবি, আলোকচিত্র, মানচিত্র, রেখাচিত্র, পোস্টার, কার্টুন, চার্ট, ফিল্ম স্ট্রিপ্ট, ও নির্বাক চলচ্চিত্র।
৩। শ্রাব্য দর্শনীয় মাধ্যমঃ
গণ ও যোগাযোগের শ্রাব্য দর্শনীয় মাধ্যমিক হিসেবে আমরা চলচ্চিত্র, টেলিভিশন, ব্যক্তিগত প্রদর্শনীয় ইত্যাদি উল্লেখ করতে পারি।
উপসংহারঃ
উপরের আলোচনার শেষে বলা যায় যে, গণমাধ্যম একটি বিনিময় প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে আমরা অন্যদের সাথে বিভিন্ন বিষয় ভাগাভাগি করতে পারি। গণমাধ্যম তাই বর্তমানে যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।
আরো পড়ুনঃ প্রতিরক্ষা কৌশল কি
আমাদের শেষ কথা,
গণমাধ্যম কাকে বলে এই বিষয় সম্পর্কে আশা করছি আজকের এই আর্টিকেল থেকে আপনারা পরিপূর্ণ বিষয়ে ভালোভাবে এবং পরিষ্কারভাবে বুঝতে পেরেছেন। তাহলে আজকের এই আর্টিকেল যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে অবশ্যই আপনি আপনার বন্ধুদের সঙ্গে এবং পরিচিতদের সঙ্গে শেয়ার করবেন। এবং আপনাদের মূল্যবান মতামত কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন। সকলে ভাল থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন ধন্যবাদ সবাইকে।
এম আর টেক ইনফো ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url