প্রেষণা চক্র
আসসালামু আলাইকুম, প্রিয় পাঠকগণ, আশা করছি আপনারা সকলেই ভালো আছেন। আজকে আমরা এই আর্টিকেলের মধ্যে প্রেষণা চক্র নিয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব।
আপনারা যারা প্রেষণা চক্র সম্পর্কে জানতে ইচ্ছুক তাহলে অবশ্যই আজকের এই আর্টিকেল শুরু থেকে একদম শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক।
প্রশ্নঃ
প্রেষণা চক্র।
প্রেষণা চক্র কি।
প্রেষণা চক্রের বিবরণ দাও।
প্রেষণার চক্রটি ব্যাখ্যা কর।
ভূমিকাঃ
মানুষের ব্যক্তিত্ব প্রকাশ পায় বিভিন্ন কাজের মাধ্যমে। কিন্তু মানুষ কেন কর্মে লিপ্ত হয় কিসের তাড়নায় কোন বাসনা পরিতৃপ্তির জন্য মানুষ কর্মে লিপ্ত হয়। এসব প্রশ্নের উত্তর দেওয়া বেশ কঠিন। সাধারণ ভাবে বলা যায় যে, কোন অভাব দূর করার জন্য মানুষ কর্মে লিপ্ত হয়। অর্থাৎ কোন উদ্দেশ্য সাধনের ইচ্ছায় মানুষকে কর্মে লিপ্ত করে। আর এই ইচ্ছার পেছনে যেসব জৈব মানসিক শক্তি কাজ করে তাই প্রেষণা।
আরো পড়ুনঃ প্রেষণার সমষ্টি কি
প্রেষণা চক্রঃ
প্রেষণা শব্দটির অর্থ অতি ব্যাপক। প্রেষণা একটি গভীয় অবস্থা। এ অবস্থায় উদ্দেশ্য লাভের জন্য তীব্র আকাঙ্ক্ষা বা ইচ্ছার উদয় হয় এবং যতক্ষণ পর্যন্ত অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জিত না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত এ গতীয় চলতে থাকবে। কোন প্রেষণার এরূপ চক্রবর্তীর উদ্ভব ও নিরসনের প্রক্রিয়াকেই প্রেষণা চক্র বলে। প্রেষণা চক্র কে বিশ্লেষণ নিম্নোক্ত স্তর গুলো পাওয়া যায়।
- শারীরিক উৎপাদনের অভাব।
- তাড়না।
- সন্তুষ্টি লাভের প্রত্যাশা।
- করণ আচরণ।
- উদ্দেশ্য সাধন।
- অভ্যন্তরীণ ভারসাম্য পুনর স্থাপন।
- বিশ্রাম।
উপসংহারঃ
পরিশেষে বলা যায় যে, যা কিছু মানুষ বা প্রাণীকে কাজে প্রীত করে বা চালিত করে তাই প্রেষণা। প্রেষণা প্রাণীকে কর্মশক্তি দান করে। প্রাণীরা জীবনে যা কিছু করে সবকিছুই মৌলিক উৎস হলো প্রেষণা। মানুষ ও প্রাণীর সারা জীবন ধরে প্রেষণা চক্রের আবর্তে ছুটে চলেছে। জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত আবর্তনের শেষ নেই।
আরো পড়ুনঃ প্রেষণা বলতে কি বুঝ
আমাদের শেষ কথা,
প্রেষণা চক্র সম্পর্কে আশা করছি আজকের এই আর্টিকেল থেকে আপনারা পুরোপুরি বিষয় বুঝতে পেরেছেন। তাহলে আজকের এই আর্টিকেল যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে অবশ্যই আপনি আপনার বন্ধুদের সঙ্গে এবং পরিচিতজনদের সঙ্গে শেয়ার করবেন। সকলে ভাল থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন ধন্যবাদ সবাইকে।
এম আর টেক ইনফো ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url