ধর্মীয় সহনশীলতা বলতে কি বুঝায়

বাঙালির নৃতাত্ত্বিক পরিচয় দাও

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় পাঠকগণ আশা করছি সকলে ভালো আছেন, আজকে আমরা এই আর্টিকেলের মধ্যে বিস্তারিতভাবে ধর্মীয় সহনশীলতা বলতে কি বুঝায় আলোচনা করব।

আপনারা যারা ধর্মীয় সহনশীলতা বলতে কী বোঝায় ধর্মীয় সহনশীলতা বলতে কি বুঝ এ সকল বিষয় সম্পর্কে জানতে চান তাহলে অবশ্যই আজকের এই আর্টিকেল শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন। তাহলে চলুন জেনে নেয়া যাক।

একটি দেশে যখন নানান ধর্মালম্বীর জনগণ বসবাস করে তখন সে দেশের সেই জনগণের মধ্যে যেই পারস্পরিক সহানুভূতি জন্ম নেয়। সকলের মধ্যে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখে এবং একে অপরের প্রতি দায়িত্ববোধ এবং কর্তব্য অনেক বেশি। এবং দেশের এবং রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা অর্জন করতে সক্ষম হয় তখন ধর্মীয় সহনশীলতা বজায় থাকে। সকল মানুষের মধ্যে যদি ধর্মীয় সহনশীলতা বজায় থাকে তাহলে অবশ্যই একটি দেশের মধ্যে সকল মানুষ যে ধর্মেরই হোক না কেন সকলেই সুখে শান্তিতে বসবাস করতে পারবে সেই দেশে।

ধর্ম এবং সংস্কৃতি একইভাবে জনগণের পক্ষেই কাজ করতে থাকে। কেননা ধর্ম যেমন সংস্কৃতির সকল দিক তুলে ধরতে সাহায্য করে তেমনি সংস্কৃতি এর মাধ্যমে ধর্ম মানুষকে অনেক বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকে। তবে ধর্ম এবং সংস্কৃতি এটি অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ধর্ম এবং সংস্কৃতিকে একে ওপরে প্রভাবিত করতে সাহায্য করে।

ধর্মীয় সহনশীলতার গুরুত্ব অনেক বেশি। ধর্মীয় সহনশীলতা বলতে অন্য ধর্মের কোন মানুষ যদি নিজের ধর্মের কোন মানুষের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে পড়ে সে ক্ষেত্রে ধর্মীয় সহনশীলতার মাধ্যমে খুব সহজেই সকল কিছুই মেনে নেওয়া সম্ভব হয় এই ধর্মীয় সহনশীলতার কারণে। আমাদের প্রিয় বাংলাদেশের মধ্যে যদি ধর্মীয় সহনশীলতা বিচার করা যায় তাহলে অবশ্যই ধর্মীয় সহনশীলতায় কাজ করে।

বাংলাদেশে এমন সব ধর্মের মানুষ রয়েছে যারা বাংলাদেশের সঙ্গে অর্থাৎ বঙ্গদেশের সঙ্গে তাদের কোন মিল পাওয়া যায় না তার পরেও সকলে মিলে মিশে এদেশে বসবাস করে এবং শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করে আসছে। শুরুর দিকে ইসলাম ধর্ম অনেক বেশি প্রচলিত ছিল না তারপরে ধীরে ধীরে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে ইসলাম ধর্ম বঙ্গ দেশে।

আবার ইসলাম ধর্মের মধ্যে গান বাজনা অর্থাৎ যন্ত্র চালিত গান-বাজনা গুলো সকল কিছুই পরিত্যাগ করা নির্দেশ করেছে কিন্তু গ্রামাঞ্চলের মানুষগুলো এখন পর্যন্ত সেই গান বাজনা গুলোকে প্রাধান্য দিয়ে কাজ করে যায়। এছাড়াও বঙ্গ দেশে এমন অনেক গান রয়েছে যেগুলো বাংলার মানুষের কাছে এখনো অনেক বেশি জনপ্রিয় আছে।

একটি দেশের মধ্যে সকলে যখন সকল ধর্মের প্রতি ভালোবাসা এবং শ্রদ্ধাবোধ কাজ করে বসবাস করতে থাকবে তখন কোন প্রকার বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হবে না। বাংলাদেশের মানুষ এমন ভাবেই বসবাস করে আসছে। তারা সকলেই পরস্পর একে অপরের সঙ্গে অনেক আগে থেকেই মিলেমিশে বসবাস করে। আর এই বসবাসের যে শান্তির প্রক্রিয়া রয়েছে এটি হলো ধর্মীয় সহনশীলতা।

পরিশেষে বলা যায় যে, ধর্মীয় সহনশীলতা বলতে সাধারণভাবে বোঝানো হয় যে একটি দেশের মধ্যে সকল মানুষ সকল ধর্মের মানুষ পরস্পর মিলেমিশেই বসবাস করার মাধ্যম কি বোঝানো হয়। ধর্মীয় সহনশীল তাই সকল মানুষ সকল ধর্মের মানুষের সঙ্গে মিলেমিশে বসবাস করবে এবং শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করবে এটাই ধর্মীয় সহনশীলতার মূলনীতি।